উত্তর ২৪ পরগনার রোগীদের ভরসাস্থল হয়ে উঠছে মণিপাল হাসপাতাল – টিএভিআই-র মাধ্যমে বড় সাফল্য





ওয়েব ডেস্ক; ২৫ মে : উত্তর ২৪ পরগনার উপনগর এলাকাগুলির বেশিরভাগ মানুষ নির্ভরশীল স্বাধীন ক্যাথ ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উপর, যেখানে পরবর্তী ধাপের রেফারেন্সের অভাব অথবা জটিলতার দ্রুত সমাধান না পাওয়ার কারণে অনেক সময় মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, টিয়ার-২ ও গ্রামীণ অঞ্চলের ৪০%-এর বেশি হৃদরোগীকে জটিল চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয় যখন তাদের শারীরিক অবস্থা ইতিমধ্যে গুরুতর হয়ে ওঠে। এইসব অঞ্চলের রোগীদের অনেকসময় গভীর রাতে আত্মীয়রা শহরে নিয়ে আসেন জরুরি চিকিৎসার জন্য—যেখানে উন্নত অ্যাক্সেস থাকলে এই সময় বাঁচানো যেত।

পূর্ব ভারতের হৃদরোগ চিকিৎসায় মণিপাল হাসপাতালের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে, মণিপাল হাসপাতাল মুকুন্দপুর-এর কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ও ইন-চার্জ ডাঃ সৌম্য পাত্র বলেন, “সম্প্রতি আমরা হাবড়া থেকে আসা ৭০ বছর বয়সি এক মহিলা রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি যিনি হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার কারণে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় ধরা পড়ে, তাঁর হৃদযন্ত্রের একটি ভালভ অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে গিয়েছে ও ঠিকমতো কাজ করছিল না। অতীতে তাঁর হৃদরোগের ইতিহাস ছিল এবং বহু বছর আগে ভালভ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিও হয়েছিল। তাঁর বয়স ও পূর্বের চিকিৎসার পরিপ্রেক্ষিতে আবার একটি ওপেন হার্ট সার্জারি করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই আমরা বেছে নিই (ট্রান্সক্যাথেটার অর্টিক ভালভ ইমপ্লান্টেশন), সংক্ষেপে (টিএভিআই)—একটি ন্যূনতম আক্রমণাত্মক পদ্ধতি যার মাধ্যমে বুক না কেটেই ভালভ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। সফলভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, মাত্র দুই দিনের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।”

ডাঃ পাত্র আরও বলেন, “আমাদের হাসপাতালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অ্যাক্সেসিবিলিটি—আমাদের অবস্থান এমন জায়গায় যেখানে কাছাকাছি রয়েছে মেট্রো ও রেলস্টেশন, ফলে উত্তর ২৪ পরগনার মতো এলাকা থেকেও রোগীরা সহজেই পৌঁছাতে পারেন। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলি, এই এলাকার মানুষ আমাদের এখানে সুরক্ষিত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে চিকিৎসা পাচ্ছেন।”

Post a Comment

0 Comments