পার্কওয়ে ক্যানসার সেন্টার বহুবিভাগীয় ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষমতাকে মানুষের সামনে তুলে ধরছে




ওয়েব ডেস্ক; ১৫ জুলাই : ভারতে প্রতি বছর ১৪ লক্ষের বেশি ক্যানসার কেসের খবর পাওয়া যায় এবং এই রোগীদের ক্ষেত্রে বেশীরভাগ সময়েই স্টেজ ৩ বা ৪-এ রোগ ধরা পড়ে, ফলে সামগ্রিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া জটিল ও বহুস্তরীয় হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, মাল্টিডিসিপ্লিনারি বা বহুবিভাগীয় পদ্ধতি চিকিৎসার গতিপথকে শুধু দ্রুততরই করে না, সেইসঙ্গে রোগী আরও ভালো ফলাফল পান কারণ এক্ষেত্রে মৃত্যু হার কমে গিয়ে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ক্যানসার চিকিৎসার ক্রমোন্নতি দ্রুত ও ধারাবাহিকরূপে ঘটে চলেছে। বহুবিভাগীয় পদ্ধতিতে শুধু রোগ সারানোই হয় না- সঠিক দিকনির্দেশ দেওয়া ও আবেগ সামলাতে সহায়তা করার মাধ্যমে এই টিম চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর পাশে থাকে। বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ রাখা ও সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হয়। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত পার্কওয়ে ক্যানসার সেন্টার কয়েক দশক আগেই একটি ছোট দলের সাথে এই ব্যবস্থা শুরু করলেও, আজ তারা এই বিষয়ের অগ্রদূতে পরিণত হয়েছে। 

ডঃ আং পেং তিয়াম, সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট, মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট ও মেডিক্যাল ডিরেক্টর বলেন, “মাল্টিডিসিপ্লিনারি ব্যবস্থা রোগীর জীবন সহজতর করে, কারও তাকে এক অ্যাপয়েন্টমেন্ট থেকে অন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টে ছুটে বেড়াতে হয় না। ধরা যাক, একজন রোগীর এইচইআর ২ পজিটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়েছে, এক্ষেত্রে তাকে ডায়াগনোসিসের জন্য একজন গাইন্যাকোলজিস্টকে দেখাতে হবে, টিউমার কেটে বাদ দেওয়ার জন্য একজন সার্জনের সাথে কথা বলতে হবে, অঙ্গটিকে সার্জারির মাধ্যমে পুনরায় তৈরি করতে আলাদাভাবে একজন প্লাস্টিক সার্জনের কাছে যেতে হবে।  কিন্তু একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম থাকলে এক গোটা প্রক্রিয়াটি একটিমাত্র পরিকল্পিত মডিউলের মাধ্যমে সহজ হয়ে যায়। ফলে রোগীর শুধু সময়ই বেঁচে যায় না, মানসিক চাপ ও কষ্টও কমে।”

সুসমন্বিত টিম ছাড়াও, এই ব্যবস্থার সাহায্যে ভারতের মানুষ ভার্চুয়াল বিশেষজ্ঞ দলের সহযোগিতায় ক্যানসারের সমাধান পেতে পারবেন। স্থানীয় চিকিৎসকদের আরও ভালো চিকিৎসা পরিকল্পনা বানানোর নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে এই বিশেষজ্ঞ দল শহর ও গ্রামীণ ভারতের মধ্যেকার ব্যবধান কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করেন।
 
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসাবে, ডঃ আং উল্লেখ করেন রোগীদের এই পরিষেবা বিরামহীনভাবে দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পিসিসি সিঙ্গাপুর কীভাবে অদ্বিতীয়। এরপর তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই ব্যবস্থার উপকারিতাগুলি তুলে ধরেন:

রোগীর প্রয়োজনভিত্তিক চিকিৎসা পরিকল্পনা – এর মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য ও জীবনযাত্রার মত স্বতন্ত্র চাহিদার মূল্যায়ন করা যায়। যার সাহায্যে প্রত্যেক রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও প্রতিক্রিয়াশীল চিকিৎসা পরিকল্পনা গঠন করা যায়। 

বিশেষজ্ঞদের সর্বসম্মতিক্রমে চিকিৎসা – প্রতিটি ঘটনা মাল্টিডিসিপ্লিনারি স্পেশালিষ্ট দ্বারা বিশ্লেষিত হয়। ফলে নির্ঝঞ্ঝাট পরিষেবা ও রোগীদের জন্য সর্বোত্তম বিকল্পের সাথে ভীষণভাবে অবগত থেকে, প্রমাণনির্ভর চিকিৎসা পরিকল্পনা বানানো যায়। 

অবাধ সমন্বয় – এর সাহায্যে সর্ব-অন্তর্ভুক্ত ব্যবস্থার সাথে চিকিৎসা লাভ করা সহজ হয়। চিকিৎসা, পরীক্ষা ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট সবকিছু সামলানো যায়, ফলে অপেক্ষার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ও ক্যানসার চিকিৎসার সাথে সংযুক্ত সামগ্রী সরবরাহের জন্যেও সময় নষ্ট হয় না। 

সামগ্রিক রোগী সহায়তা – ওষুধ খাওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার থেকেও বেশি পরিষেবা এই চিকিৎসায় পাওয়া যায়। চিকিৎসা ও আরোগ্যলাভের সময়কাল জুড়ে ব্যথা সামলানোর ব্যবস্থা, সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং, পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ ও উপসর্গ লাঘবের ব্যবস্থা সহ সব রকমের সহায়তা দেওয়া হয়।

Post a Comment

0 Comments