ওয়েব ডেস্ক; ৮ আগস্ট কলকাতা: মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাস পূর্ব ভারতের স্ট্রাকচারাল হার্ট কেয়ারে এক বড় মাইলফলক স্পর্শ করল— সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ৫০টি ট্রান্সক্যাথেটার অ্যাওর্টিক ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) প্রক্রিয়া। এ ধরনের হার্ট ভাল্ভ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হাসপাতালটি এখন পূর্ব ভারতের শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
টিএভিআর হলো একটি মিনিমালি ইনভেসিভ বা স্বল্প আঘাতমূলক পদ্ধতি, যেখানে গুরুতর অ্যাওর্টিক স্টেনোসিসে আক্রান্ত এবং ঐতিহ্যগত ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের বুকে কাটা না দিয়েই ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি দেশে ১,২০,০০০-এর বেশি রোগীর টিএভিআর হয়েছে। ভারতে গত ১০ বছরে হয়েছে প্রায় ৫,০০০টি প্রক্রিয়া, যার মধ্যে পূর্ব ভারতে সর্বাধিক টিএভিআর সম্পন্ন হয়েছে মণিপাল হাসপাতালেই।
ডা. দিলীপ কুমার, ডিরেক্টর, ক্যাথ ল্যাব, সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ও স্ট্রাকচারাল হার্ট এক্সপার্ট, মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাস বলেন— “টিএভিআর জটিল হার্ট ভাল্ভ সমস্যার চিকিৎসায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, বিশেষত বয়স্ক ও উচ্চ-ঝুঁকির রোগীদের জন্য। কোনো জটিলতা ছাড়া ৫০টি কেস সম্পূর্ণ করা আমাদের টিমের দক্ষতা এবং রোগী-কেন্দ্রিক সেবার প্রমাণ। ভবিষ্যতের হার্ট কেয়ারে এই ক্যাথেটার-ভিত্তিক পদ্ধতিই হবে অগ্রণী, এবং আমরা গর্বিত যে পূর্ব ভারতেই বিশ্বমানের ফলাফল দিতে পারছি।”
ডা. অরিন্দম পান্দে, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডিপার্টমেন্ট অফ কার্ডিওলজি ও কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাস বলেন— “টিএভিআর রোগীদের জন্য নতুন জীবন পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে, যেখানে আগে বিকল্প খুবই সীমিত ছিল। ওপেন সার্জারির তুলনায় এই পদ্ধতিতে বুক কাটা লাগে না, অ্যানাস্থেশিয়ার ঝুঁকি কম, আর মাত্র ২-৩ দিনের মধ্যেই রোগী বাড়ি ফিরতে পারেন— যা সত্যিই এক বিপ্লব। এই ৫০ কেসের সাফল্য প্রমাণ করছে যে আমরা হার্ট কেয়ারের ক্ষেত্রে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছি।”
0 Comments