ওয়েব ডেস্ক; ১৩ আগস্ট : কার্ডিয়াক কেয়ারে এক বিরল সাফল্য অর্জন করল মণিপাল হাসপাতাল, ইএম বাইপাস। বিহারের পাটনার ৭৬ বছর বয়সী এক পুরুষ রোগী, বিপিন পোদ্দার, যিনি প্রায় এক দশক ধরে অসম্পূর্ণ লিড অপসারণজনিত পেসমেকার সংক্রমণে ভুগছিলেন, তার সফল চিকিৎসা করলেন মণিপাল হাসপাতালের ইএম বাইপাস শাখার ক্যাথ ল্যাব ডিরেক্টর, সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট, ডিভাইস ও স্ট্রাকচারাল হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিলীপ কুমার।
২০১৫ সালে পাটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমে ডান দিকে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হয় বিপিন পোদ্দারের। ২০১৮ সালে তা সরিয়ে বাম দিকে পুনঃপ্রতিস্থাপন করা হলেও ডান দিকের পুরনো লিড সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়নি। বরং সেটি কেটে ভেতরে রেখে দেওয়া হয়, যার ফলে ধীরে ধীরে একটি সাব-অ্যাকিউট সংক্রমণ তৈরি হয়। ২০২১-২২ সালে আরেকটি অস্ত্রোপচার করা হলেও সমস্যা সমাধান হয়নি এবং তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে রোগীর উচ্চ জ্বর চলতে থাকে।
কেসটি সম্পর্কে ডাঃ দিলীপ কুমার বলেন, “কার্ডিয়াক ইমপ্লান্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইস হৃদযন্ত্রের রিদমজনিত সমস্যার চিকিৎসায় বিপ্লব এনেছে, কিন্তু সংক্রমণ হলে এবং বিশেষ করে লিড সম্পূর্ণ না সরানো হলে তা জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ায়। বিপিন পোদ্দারের ক্ষেত্রে প্রায় ১০ বছর ধরে এম্বেডেড লিড একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ তৈরি করেছিল। আগের সার্জারির দাগ ও জটিলতার সম্ভাবনা থাকায় এটি অপসারণ অত্যন্ত কঠিন ছিল। আমাদের দল নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে সংক্রমিত লিড সরিয়ে রোগীর হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রেখেছে। এমন ক্ষেত্রে লিডলেস পেসমেকার প্রচলিত ডিভাইসের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ বিকল্প।”
সফল অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমিত লিড সম্পূর্ণভাবে সরানো হয় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে। রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিপিন পোদ্দার বলেন, “বছরের পর বছর জ্বর ও দুর্বলতায় ভুগেছি। পাটনায় একাধিক অস্ত্রোপচার করেও আসল সমস্যার সমাধান হয়নি। মণিপাল হাসপাতাল, ইএম বাইপাসে আসার পর সবকিছু বদলে যায়। ডাঃ দিলীপ কুমার ও তাঁর টিম শুধু সমস্যাটি চিহ্নিতই করেননি, বরং অসীম যত্ন ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে চিকিৎসা করেছেন। মনে হচ্ছে আমি নতুন জীবন পেয়েছি।”
মণিপাল হাসপাতাল – পূর্ব ভারতের রিজিওনাল চিফ অপারেটিং অফিসার ডাঃ অয়নাভ দেবগুপ্ত বলেন, “এত জটিল একটি কেস সফলভাবে সম্পন্ন করা আমাদের কার্ডিয়াক কেয়ারের উৎকর্ষ ও বিশেষজ্ঞতার প্রমাণ। পূর্বাঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তি ও রোগীকেন্দ্রিক সেবার মিশ্রণ দিয়েই আমরা এই সাফল্য অর্জন করেছি।”
0 Comments